চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন মোকাবিলায় মানবসম্পদকে প্রস্তুত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ হোটেলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব–বিষয়ক এক সম্মেলনে এ তাগিদ দেন তাঁরা।
‘দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ’ বা আইসিএমএবি চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘চতুর্থ শিল্পবিল্পব: বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতা ও সুযোগ’ শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, রোবটিকস, মেশিন লার্নিং, জীববিদ্যাভিত্তিক প্রযুক্তির সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সমন্বয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে জানিয়ে বক্তারা জানান, এ বিপ্লব মোকাবিলায় মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএমএবি এর সাবেক সভাপতি আরিফ খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান। সম্মেলনে বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস বা সাফা সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন, আইসিএমএবির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। আইসিএমএবি চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরিফ এতে সভাপতিত্ব করেন।
বক্তারা জানান, বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সফলতা বহুলাংশে নির্ভর করছে পেশাগত হিসাববিদসহ পেশাজীবীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ওপর।
সম্মেলনে দুটি কারিগরি অধিবেশনে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সকালে ইনফিনিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আলমের পরিচালনায় ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব: সীমাবদ্ধতাকে সুযোগে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। আর বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের পরিচালনায় ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব: ব্যাংকিং সেক্টরের প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার সাহা।