আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের করা ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এ অগ্রগতি হয়েছে বলে আজ সোমবার দাবি করে ইরান।
ভিয়েনা আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতির দাবি করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদেহ বলেন, ভিয়েনা আলোচনায় সব বিষয়ে একমত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়। গতকাল তেহরানে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, যেসব বিষয় এখনো মীমাংসা হয়নি, সেগুলো সবচেয়ে বেশি জটিল। খতিবজাদেহ বলেন, ইরানের নিরাপত্তাবিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ভিয়েনা আলোচনার বিষয়টি দেখভাল করছে। সংস্থাটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির কাছে সরাসরি প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে তেহরান। এ চুক্তির আওতায় ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করবে, বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে তুলে নেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চুক্তিটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়।
তখন থেকে চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সেই চুক্তিতে পুনরায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। চুক্তিটি বাঁচাতে এখন আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী শামখানি বলেন, ইউরোপীয় আলোচকদের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি এজেন্ডায় নেই। কারণ, তারা ‘কোনো অগ্রগতির’ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে না।
এদিকে গত এপ্রিলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ভিয়েনায় পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদি শিগগিরই চুক্তিটি রক্ষা করা না যায়, তাহলে তেহরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদার করতে পারে বলে পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে।