জাদুঘরে নয়, সুমনের গান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের গান পরিবেশনের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে তাঁকে গান পরিবেশনের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার থেকে তাঁকে গানের আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল আয়োজকদের, টিকিটও বিক্রি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কবীর সুমনও ঢাকায় পৌঁছেছেন। শেষ মুহূর্তে ডিএমপি জানিয়েছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় জাতীয় জাদুঘরে এ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘর কেপিআইভুক্ত এলাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একজন জনপ্রিয় বিদেশি শিল্পী গান পরিবেশন করবেন। ভিড় হবেই। সাধারণ কোনো অনুষ্ঠান হলে আমরা অনুমতি দিতাম।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা রয়েছে কবীর সুমনের।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানাতে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে আজ সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোল।

গত শুক্রবার টিকিট ছাড়া হয়েছে। টিকিট নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ দেখা গেছে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে আধুনিক বাংলা গানের দুই দিনের শোর সব টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং বাংলা খেয়ালের টিকিটও বিক্রি শেষের পথে বলে জানান আয়োজকেরা।

একটি ভিডিও বার্তায় কবীর সুমন বলেন, ‘এ আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের নবীনদের মধ্যেও খুব উৎসাহ রয়েছে বলে জানালেন আয়োজকেরা। এটা আমার খুব ভালো লাগছে।’
এর আগে নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে গান করেছিলেন কবীর সুমন, তখন কোনো পারিশ্রমিক নেননি তিনি।