২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি গত মাসের তুলনায় ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে এই হার দাঁড়িয়েছে ৯.৬৭ শতাংশে। খাদ্য ও অখাদ্য উভয় ক্ষেত্রেই মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। মাসিক ভিত্তিতে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি ১.৩ শতাংশ কমে ৯.৪৪ শতাংশে এবং অখাদ্য দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি ১ শতাংশ কমে ৯.৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের মুদ্রাস্ফীতি বছর-বছর গণনায় ১০ শতাংশ এবং খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ১৬ শতাংশ বেড়েছে। এই মাসে রান্নার গ্যাস (এলপিজি) এর জাতীয় গড় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগস্ট ২০২৩ থেকে বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ৪১ টাকা বেড়ে ১৪৭৪ টাকায় পৌঁছেছে, যা সম্প্রতি ডলার ও জ্বালানি সংকটের ফলে প্রভাবিত।
ঘরোয়া খুচরা বাজারে, এই মাসে মৌলিক খাদ্যদ্রব্য যেমন শস্য (চাল, গম), প্রোটিন উৎস (মুরগি, ডিম, মাছ, ডাল) এবং কিছু সবজির মূল্য বেশ বেড়েছে, অপরদিকে আলু, পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচের দাম গত মাসের তুলনায় কমেছে।
চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালের আমদানি কোনো হয়নি। এই সময়ে গমের ক্রয় বছর-বছর গণনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। সরকার অতিরিক্ত ঘরোয়া মূল্য চাপ স্থিতিশীল করার জন্য গমের আমদানি স্বাভাবিক করার গুরুত্ব দিয়েছে। এই সময়ে মোট খাদ্যশস্যের আমদানি বছর-বছর গণনায় ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়াও, ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ একজন ব্যক্তির জন্য জাতীয় খাদ্য ঝুড়ির মাসিক খরচ ৩০ টাকা বেড়ে ২৯২৩ টাকায় পৌঁছেছে। যদিও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, প্রধান খাদ্যদ্রব্যের খুচরা মূল্য বেড়েছে। Cox’s Bazar এর জন্য শক্তি-সমৃদ্ধ খাদ্য ঝুড়ির মূল্য গত মাসের তুলনায় ১৯ টাকা কমে ১৫৩৯ টাকায় নেমেছে।